Author: admin

  • জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা আছে

    জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা আছে

    বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর), জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এই সনদে স্বাক্ষর করেন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নেতারা।

    সনদে অন্তর্ভুক্ত সাত দফা অঙ্গীকারের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নিরপেক্ষ নির্বাচন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মৌলিক অধিকার রক্ষাসহ নানা জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রকাশ করেছে।

    অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীরা এই মর্মে অঙ্গীকার ও ঘোষণা করছি যে-

    (১) জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।

    (২) যেহেতু জনগণ এই রাষ্ট্রের মালিক, তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণত জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে সেহেতু রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ গ্রহণ করেছি বিধায় এই সনদ পূর্ণাঙ্গভাবে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করব।

    (৩) জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করব না, উপরন্তু উক্ত সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করব।

    (৪) গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের দীর্ঘ ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথ্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করব।

    (৫) গণঅভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।

    (৬) জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তথা সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান এবং বিদ্যমান আইনগুলোর প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব।

    (৭) জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত যেসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করেই দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।

    উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির চেয়ারম‍্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব‍্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকনসহ অন্যরা।

    অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিরা। এছাড়া সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থি দল এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি।

  • জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি যেসব দল

    জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি যেসব দল

    জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে সনদে স্বাক্ষর করেন তারা।

    জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নিলেও কয়েকটি দলের নেতারা যাননি।

    এ অনুষ্ঠানে যাননি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। এছাড়া চারটি বাম ধারার রাজনৈতিক দলও অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি। দলগুলো হলো- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।

    এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। এর কিছু আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন।

    জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের; নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার; আমার বাংলাদেশ পাটির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ; খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের; রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল; গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ; জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান; বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা জামালী।

    আরও স্বাক্ষর করেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির; জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও মহাসচিব মোমিনুল আমিন; বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলর (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও সিনিয়র সহসভাপতি মিসেস তানিয়া রব; ১২ দলীয় জোট ও চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান; গণফোরাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান; জাকের পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, গাজীপুর জেলা ছাত্রফ্রন্ট যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান শেখ; জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল আরেফিন লিটু বিশ্বাস; বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার।

    এছাড়া বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়্যারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম; ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম (বাবলু) ও মহাসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (সেলিম); জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী; ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের ও মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী; আমজনতার দলের সভাপতি কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান (অব.) ও সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন।

  • চলতি মাসে ১ দিন ছুটি নিলেই টানা ৪ দিন পাবেন যারা

    চলতি মাসে ১ দিন ছুটি নিলেই টানা ৪ দিন পাবেন যারা

    সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে ছুটির পাশাপাশি রয়েছে ঐচ্ছিক ছুটির সুযোগ। যদিও নামমাত্র ‘ঐচ্ছিক’, বাস্তবে এটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও অনুমোদনের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। ধর্মীয় পর্ব অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা বছরে সর্বোচ্চ তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর নিজ ধর্ম অনুযায়ী ছুটি নেওয়ার দিনগুলো বাৎসরিক ছুটির পঞ্জিতে নির্ধারিত থাকে। ঐচ্ছিক ছুটি গ্রহণের জন্য বছরের শুরুতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সাধারণ ছুটি কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে এ ছুটি নেওয়ার সুযোগও থাকে।

    চলতি মাসেই মিলছে টানা ৪ দিনের ছুটির সুযোগ
    চলতি অক্টোবর মাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সরকারি কর্মচারীরা পাচ্ছেন টানা ছুটির সুবর্ণ সুযোগ। ২০ অক্টোবর সোমবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা উপলক্ষ্যে ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়া যাবে। এই দিনটি সোমবার, যার আগে রয়েছে ১৯ অক্টোবর রোববার কর্মদিবস এবং তার আগে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার ও ১৮ অক্টোবর শনিবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সেক্ষেত্রে, যারা ২০ অক্টোবর সোমবার ঐচ্ছিক ছুটি নেবেন এবং সঙ্গে ১৯ অক্টোবর রোববার ১ দিনের ছুটি নিতে পারবেন; তারা ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ অক্টোবর টানা ৪ দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন।

    কোন ধর্মে কত দিনের ঐচ্ছিক ছুটি?

    মুসলিম কর্মচারীরা ৫টি ধর্মীয় পর্বে মোট ৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ দিন ছুটি নিতে পারবেন।

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৮টি পর্বে ৯ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ দিন।

    খ্রিষ্টান ধর্মের জন্য ৭টি পর্বে ৮ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ দিন।

    বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৬টি পর্বে ৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ দিন।

    ছুটি নিতে হলে কী করতে হবে?
    ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার জন্য অবশ্যই—

    বাৎসরিক ছুটির তালিকায় উল্লিখিত ধর্মীয় পর্বের মধ্যে হতে হবে।

    পূর্বানুমোদন নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

    ছুটি সাপ্তাহিক ছুটি বা সাধারণ ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে।

    এই ছুটি কেবলমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের বাৎসরিক ছুটির তালিকায় মহালয়ার দিনটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং যারা আগেই ঐচ্ছিক ছুটির অনুমোদন নিয়েছেন।

    আপনি যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং এখনো অনুমোদন না নিয়ে থাকেন, তাহলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এখনই প্রস্তুতি নিতে পারেন এই টানা তিন দিনের ছুটি উপভোগের জন্য।

  • নতুন পে-স্কেলে কত শতাংশ বেতন বাড়তে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

    নতুন পে-স্কেলে কত শতাংশ বেতন বাড়তে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পে-কমিশন গঠন করেছে। খুব সম্ভবত আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে পে-কমিশন প্রতিবেদন দিতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার।

    তিনি বলেছেন, আমরা যে ইঙ্গিত পাচ্ছি তাতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কিংবা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের বাড়িভাড়াসহ বেতনের বিষয় নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন। তখন শিক্ষকদের বাড়িভাড়াসহ বেতনের বিষয়গুলোও সুরাহা হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন।

    শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,  আমরা প্রতি মুহূর্তে শিক্ষকদের দাবি নিয়ে কাজ করছি। আপনারা জানেন অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব দেশের বাইরে আছেন। তবু আমরা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি।

    পে-স্কেল নিয়ে তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল হবে ইনশাআল্লাহ। তখন এটার একটা ইতিবাচক প্রভাব থাকবে।

    সূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস

  • জাতীয় বেতন স্কেল কবে থেকে, জানালেন শিক্ষা সচিব

    জাতীয় বেতন স্কেল কবে থেকে, জানালেন শিক্ষা সচিব

    কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল হবে, তখন শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়াসহ বেতনের বিষয়গুলোও সুরাহা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন।

    বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

    শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রেহানা পারভীন বলেন, ‘আমরা প্রতি মুহূর্তে এটা নিয়ে কাজ করছি। আপনারা জানেন অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব দেশের বাইরে আছেন। তবুও আমরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। যতটা করা যায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমরা আলোচনায় ডেকেছি। আলোচনায় বসলে একটি সমাধান আসবে। লামছাম বরাদ্দ থেকে শতাংশের হিসেবে যে আমরা যাচ্ছি এটা একটি উত্তোরণ।’

    শিক্ষা সচিব বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল হবে ইনশাআল্লাহ। তখন এটার একটা ইতিবাচক প্রভাব থাকবে। এ প্রচেষ্টায় সবার সহযোগিতা চাই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দাবি করছি আমরা চেষ্টা করছি। এটার প্রভাব দেখতে একটু সময় লাগবে।’

  • পে স্কেলে বেতন কত শতাংশ বাড়তে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

    পে স্কেলে বেতন কত শতাংশ বাড়তে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

    আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে পে কমিশন প্রতিবেদন দিতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে ইঙ্গিত পাচ্ছি তাতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কিংবা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হতে পারে।’

    আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের বাড়িভাড়াসহ বেতনের বিষয় নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন।

    তখন শিক্ষকদের বাড়িভাড়াসহ বেতনের বিষয়গুলোও সুরাহা হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

    শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষাসচিব রেহানা পারভীন বলেন, ‘আমরা প্রতি মুহূর্তে শিক্ষকদের দাবি নিয়ে কাজ করছি। আপনারা জানেন অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব দেশের বাইরে আছেন। তবু আমরা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি।

  • শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা

    শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা

    সরকারের আর্থিক বাস্তবতা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ বৃদ্ধি (ন্যূনতম ২০০০ টাকা) এখন আলোচনাধীন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।

    এইচএসসি-২০২৫ এর ফলাফল বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

    তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রাণ। আমি শুরু থেকেই শিক্ষকদের বেতন, প্রশিক্ষণ ও মর্যাদা বৃদ্ধির পক্ষে সোচ্চার।

    আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মীরাও এই বিষয়ে সহানুভূতিশীল।’

    শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষক সংগঠনগুলো শতাংশভিত্তিক বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবি তুলেছেন। সরকারের আর্থিক বাস্তবতা অনুযায়ী ৫ শতাংশ বৃদ্ধি (ন্যূনতম ২০০০ টাকা) এখন আলোচনাধীন।’

    তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশে আগামী বছর আমরা একটি আরো সম্মানজনক কাঠামোর দিকে যেতে পারব।

    সরকার শতাংশভিত্তিক বাড়ি ভাড়া বিষয়ে শিক্ষকগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সংবেদনশীল। সামর্থ অনুসারে শতাংশভিত্তিক বাড়ি ভাড়া প্রদানের বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের দিকেও সরকার কাজ করছে— কারণ বেতন শুধু নয়, সম্মান ও সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ।’

    এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা।

    বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরের যেকোনো সময় এ আলোচনা শুরু হবে বলে জানা গেছে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের শতাংশ দাবি করেছেন। মন্ত্রণালয় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। তবে একবারে ২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ধাপে ধাপে এটি বাড়ানো হবে।

    বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শিক্ষক নেতাদের ডাকা হয়েছে।

  • ১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

    ১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

    ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েন লেনদেন করতে কেউ কেউ অনীহা প্রকাশ করছেন, যা প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের কোনো কোনো এলাকায় ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা লেনদেন করতে কেউ কেউ অনীহা প্রকাশ করছেন। এটি প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন।

    কাগজী নোটের পাশাপাশি প্রচলিত সব ধরনের ধাতব মুদ্রা বৈধ। তাই এটি নগদ লেনদেনে ব্যবহার করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

  • ন্যূনতম দুই হাজার টাকা বাড়িভাড়া বাড়ছে শিক্ষকদের

    ন্যূনতম দুই হাজার টাকা বাড়িভাড়া বাড়ছে শিক্ষকদের

    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৩ দফা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ অথবা ন্যূনতম দুই হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এমনই সবুজ সংকেত মিলেছে। মন্ত্রণালয় বলছে, প্রথমিকভাবে বাড়িভাড়ার অর্থ বাড়াতে ৯৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। পরবর্তী বছর থেকে এই হার বৃদ্ধির পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও শাখার একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমানে অর্থ উপদেষ্টা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। কিন্তু শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগের সঙ্গে বুধবারও একাধিকবার যোগাযোগ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    অর্থ বিভাগ ৫ শতাংশ কিংবা ২০০০ টাকা শিক্ষক প্রতি ছাড় দিতে পারে।’

    শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেখানে প্রতি অর্থবছরে রাষ্ট্রের বাজেট ৮ লাখ কোটি টাকা। সেখানে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দিলে প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য ২৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে সরকারকে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

    কোনো যৌক্তিক দাবিকে অবহেলা করা ঠিক হবে না।

    এদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতাংশ হারে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আলোচনা সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। তবে প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তারা।

    অন্যদিকে বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন আরো বেগবান হয়েছে।

    বুধবার আন্দোলনরত শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। স্লোগান, ব্যানারে অনেকে প্রধান সড়কে শুয়ে পারেন। শিক্ষকদের ব্লকেডে শাহবাগ হয়ে রমনা, এলিফ্যান্ট রোড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকরা শাহবাড় ছেড়ে শহীদ মিনার এলাকায় ফিরে যান। তারা জানিয়েছেন বুধবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার লং মার্চ টু যমুনায় যাবেন শিক্ষকরা।

    এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে আমরা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করব। প্রশাসনকে বলব, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করেছি, আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।’

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় আন্তরিক। কিন্তু তাদের বাড়িভাড়া কী হারে বাড়ানো হবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।’

    উল্লেখ্য, বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে টানা চার দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। কখনো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায়, কখনো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বা হাইকোর্টের সামনের সড়কে কর্মসূচি পালন করছেন।

  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে

    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে

    বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা অনুসারে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়ে এ চিঠি দেওয়া হয়।

    বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত এই চিঠি পাঠানো হয়। মূল বেতনের শতকরা হারে বাড়িভাড়া নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায় উন্নীত করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা একটি আধা সরকারি পত্র অর্থ বিভাগে পাঠান। এর প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ একটি পত্রের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করে।

    আরো বলা হয়, মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আগের আধা সরকারি পত্রের ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের শতকরা হারে বাড়িভাড়া নির্ধারণের অনুরোধ সংবলিত একটি পত্র অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে। ওই পত্রে ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া নির্ধারণ করা হলে সম্ভাব্য আর্থিক সংশ্লেষের একটি প্রাক্কলনও তুলে ধরা হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়, মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে অর্থ বিভাগের ৩০ সেপ্টেম্বর জারিকৃত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১০০০ টাকা হতে ১৫০০ টাকা নির্ধারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণের মূল বেতনের শতকরা হারে বাড়িভাড়া নির্ধারণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

    এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় বসেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্ত দিলরুবা শাহীনার কক্ষে এ আলোচনা হচ্ছে। আলোচনায় যুগ্ম সচিব এবং উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত আছেন।